পরস্ত্রীর
সঙ্গে যৌন সম্পর্ক
শাস্ত্রে আছে, অপরের
পরিণীতা স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করা কদাচ উচিত নয়। মানুষের সমাজও এর বিশেষ
বিরোধী। মানুষ এ কাজকে খুব নিন্দনীয় বলে মনে করে। তবে বাৎস্যায়ন বলেন, প্রেম ও ধন সম্পত্তির লোভে এরূপ কাজ করা যেতে পারে তবে নিম্নলিখিত
বস্তুগুলি বিচার করতে হবে।
১। লাঞ্ছিত পরনারীকে সহজে পাওয়া যেতে পারে কি না।
২। তার সঙ্গে সহবাস দুষ্ট ব্যাধি আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ঘটতে পারে কিনা।
৩। তার সঙ্গে কোন শাস্ত্র বিরুদ্ধ সম্পর্ক আছে কিনা যেমন মাসী, পিসী, গুরু পত্নী ইত্যাদি।
৪। বাঞ্ছিত স্ত্রীর সঙ্গে ভালোবাসা করলে সত্যিই কোন ধন লাভ ঘটতে পারে কিনা।
৫। যদি ইচ্ছা এত প্রবল হয় যে ঐ কাজ না করলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
আকর্ষণের
প্রাবল্যের প্রমাণ
এই আকর্ষণ প্রকৃত প্রবল
কি না তা বিচার করা যায় নানা উপায়ে। যথা-
১) প্রথম দর্শনেই নারীর প্রতি প্রেমের উদয়।
২) মনে তার প্রতি দৃঢ় আকর্ষণ।
৩) সর্বদা ঐ নারীকে মনে মনে চিন্তা করা।
৪) চিন্তা করতে করতে যদি নিদ্রাহীন হতে হয়।
৫) কিছুকাল বিনিদ্র থেকে যদি শরীর দুর্বল হয়ে যেতে থাকে।
৬) জীবনের অন্যান্য সব কাজ যদি অরুচিকর বলে মনে হয়।
৭) সব বাধা বিপত্তি তুচ্ছ মনে হওয়া।
৮) ঐ নারী ভাল না বাসলে স্নায়ুবিক রোগ উপস্থিত হতে পারে।
৯) এমন অবস্থা যে, মাঝে মাঝে মৃগীরোগের মত দেখা দিতে পারে।
১০) এ অবস্থার জন্য পরে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
১১) ঐ নারীকে যথাসর্বস্ব দিয়ে দেওয়া যায়।
১২) তাকে না পেলে নিজের জীবনই বৃথা বলে মনে হয়।
বিচার্য্য
বিষয়
পর নারীকে কাম নিবেদন
করার আগে যে সব বিষয় মনোযোগ সহকারে দেখা কর্তব্য তা হল-
১) ঐ নারীর মনোভাব কেমন।
২) তার মতবাদ বিশ্বাসযোগ্য কিনা।
৩) তার সতীত্ব দৃঢ় কিনা, সতীত্ব দৃঢ় না হলে তাকে সহজে পাওয়া যায়।
৪) তাকে সহজে পাওয়া যেতে পারে কিনা।
৫) তার কাম বাসনা উগ্রচিতা, যাতে সে পর পুরুষ কামনা করে।
৬) নারীর দৃষ্টিভঙ্গীই তার মনোভাব ব্যক্ত করে, তাছাড়া কথাবার্তা হাবভাব দেখা উচিত।
৭) সুসজ্জিত পুরুষ দেখে নারী আকৃষ্ট হয়, পুরুষও সুসজ্জিতা নারী দেখে আকৃষ্ট হয় কিন্তু নানা কারণে তাদের কাম নির্ধারিত হয়।
৮) সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে যাতে স্বামী না জানতে পারে, যেন স্বামী তাকে তাড়িয়ে না দেয়, তা হলে সে পর পুরুষ প্রেমিকাটিকে ঘৃণা করবে।
৯) নূতন প্রেমিক দু-একদিন পর উদাসীন হয়ে পড়লে নারী আবার নিজেকে সংযত করে নেয়।
১০) যে নারী যত সহজলভ্য তার প্রতি পুরুষের তত আগ্রহ বাড়ে না, যে যত দুর্লভ তত তার প্রতি কামনা বাড়ে।
কি কারণে
নারী পরপুরুষ চায় না
১। যখন স্বামীর সঙ্গে গভীর ভালোবাসা থাকে।
২। যখন তার কিছু ছেলে পুলে থাকে।
৩। যখন তার বয়স বাড়ে।
৪। যখন সে কোন মনস্তাপ পায়।
৫। যখন সর্বদা স্বামীর কছে থাকে।
৬। যখন সে তার নতুন প্রেমিকের বিষয়ে সন্ধিদ্ধ চিত্ত।
৭। তার প্রেমিকের কাছে যেতে বিপত্তি থাকে।
৮। যখন সে বুঝতে পারে নতুন প্রেমিক শুধু ফুলে ফুলে মধু খেয়ে বেড়ায়।
৯। যখন সে বোঝে ঐ পুরুষ অন্য নারীর সঙ্গে প্রেম চালাছে।
১০। যখন সে সন্দেহ করে নব প্রেমিক তার গুপ্তপ্রেমের কথা সহজে ব্যক্ত করতে পারে।
১১। যখন সে মনে করে নব প্রেমিকের প্রেম নিবেদন একটা ছলনা মাত্র।
১২। যদি সে মনে করে নবপ্রেমিক তার বন্ধু বান্ধবদের দ্বারা তাকে ভোগ করাবে।
১৩। স্বামী টের পেতে পারে যদি এমন ভয় থাকে।
১৪। যখন নতুন প্রেমিক প্রচুর কাম ক্রীড়া অবগত, তখন তার সঙ্গে মিলনে ভয় পায়।
১৫। দীর্ঘদিন স্বামীর সঙ্গে শান্তিতে বাস করেছে, তখন যে নতুন প্রেমিককে ভয় পায়।
১৬। যদি হরিণী নারী বোঝে প্রেমিকের বৃষ বা অশ্ব জাতীয় লিঙ্গ।
১৭। যখন সে দেখে নতুন প্রেমিক স্থান কাল মানতে চায় না।
১৮। যখন সে দেখে নতুন প্রেমিকের সমাজে কোন স্থান নেই।
১৯। যখন দেখে নতুন প্রেমিক তার সংকেত বা ইশারা ইত্যাদি বোঝে না, খুব নির্বোধ।
২০। যখন হস্তিনী নারী দেখে তার প্রেমিকের শশক জাতীয় লিঙ্গ।
২১। যখন সে বুঝবে তার সঙ্গমে নবপ্রেমিকের শারীরির বা আর্থিক ক্ষতি হবে।
২২। যখন সে বোঝে ধরা পড়লে আত্নীয়স্বজন মহলে বদনাম হবে।
২৩। যখন দেখে নব প্রেমিক তাকে সন্দেহ করে।
২৪। যখন তার মনে খুব ধর্মভাব বর্তমান ও এই সব বিষয় চিন্তা করে যে লোক পরস্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গমের কথা ভাবে, সে এই কাজে প্রকৃত সফলতা লাভ করতে পারে।
পরনারীর
কাম্য পুরুষ
পরনারী কোন কোন ধরণের
পুরুষ বিশেষ ভাবে কামনা করে তাও অবশ্য দেখা দরকার। নিম্নলিখিত গুণবিশিষ্ট ব্যাক্তিরা
সহজেই পরনারীকে আকর্ষণ করতে পারে।
১। যে কামশাস্ত্রে বেশ সুপণ্ডিত।
২। যে বেশ গুছিয়ে গল্প করতে পারে।
৩। যে বাল্যকালে খেলার সাথী ছিল।
৪। সুন্দর ও সুদর্শন যুবক।
৫। যে খেলার সঙ্গী।
৬। যে নারীর কথা বেশ মনোযোগ দিয়ে শোনে এবং কোন যথোচিত ভাবে তার আবদার শোনে।
৭। যে বুঝে সুঝে কথা বলে।
৮। নারী যা চায় তা সহজে যে জোগাড় করে দিতে পারে।
৯। নারীর প্রেমিকের পূর্ববর্তী দূত।
১০। যে যুবক নারীর গুপ্ত কথা জানে।
১১। যে অনেক বিলাসিনী নারীর কেন্দ্রীভূত হয়।
১২। যে পুরুষ তার অভিলষিত নারীর সাথীদের সঙ্গে বেশ মেলামেশা করে।
১৩। যে তার সম্পত্তির জন্য সুবিদিত।
১৪। যে একজন নারীর সঙ্গে একত্রে বয়সে বেড়েছে।
১৫। একজন কামুক বলে বিদিত, তার প্রতিপত্তি বা অর্থ আছে।
১৬। কামুক পরিচায়ক।
১৭। ধাত্রী কন্যার প্রেমিক বা স্বামী।
১৮। সংসারে যে নতুন বরস্বরূপ এসেছে।
১৯। যে পুরুষ বনভোজন ও উদ্যান উৎসবে কৃতি।
২০। একজন অপব্যয়ী বা ব্যয়ে মুক্ত হস্ত।
২১। আমোদপ্রিয় অর্থাৎ নাটক দেখতে ভালোবাসে।
২২। যারা বৃষ জাতীয় পুরুষ, নারী বোঝে ওদের দ্বারা পূর্ণ কামতৃপ্তি সম্ভব।
২৩। অতি সাহসী এবং মস্তান ধরণের লোক।
২৪। যে লোক নারীর স্বামীর থেকে বেশি বিদ্বান, সুন্দরতর বা বেশি প্রতিভাসম্পন্ন ব্যাক্তি।
২৫। যে খুব বাবুয়ানা করে বেড়ায়।
পুরুষ যেমন নানা হাবভাব
করে নারীর মনোহরণ করতে পারে তেমনি অনেক নারী ইঙ্গিত প্রকারে পুরুষের সুগম হতে
পারে।
সুলভ
পরনারী চেনার উপায়
নারী নিম্নলিখিত প্রকার
ইঙ্গিতে পুরুষের সুলভ বলে প্রতীয়মান হয়। তা হল-
১। যে নারী তাদের গৃহদ্বারে পথিকদের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
২। যে বাড়ীর ছাদ থেকে পথচারীদের দিকে তাকিয়ে থাকে।
৩। যে পল্লী পুরুষেরা বেশি গুলতানি করে, যে নারী তাতে সহজে যোগ দেয়।
৪। যে বিদেশীর দিকে কটাক্ষনেত্রে তাকায়।
৫। বিদেশীরা তাকালে যে নারী তাদের দিকেও বার বার তাকায়।
৬। যে নারীর স্বামী কারণ ছাড়া অন্য নারীকে বিয়ে করেছে।
৭। যে নারী স্বামীকে ঘৃণা করে।
৮। স্বামী কৃর্তৃক ঘৃণিতা নারী।
৯। সে স্বভাবতই অতি অবগুন্ঠনবতী।
১০। যে নারী অপুত্রকা।
১১। যে নারী সর্বদা তার পিতৃগৃহে বাস করে।
১২। যে সব নারীর পুত্রকণ্যা প্রায়ই মারা যায়।
১৩। যে নারী তার নিজের বাড়িতে বা পল্লীর অন্য বাড়িতে বিভিন্ন সমিতিতে যোগদান করে।
১৪। যে প্রথমেই ইচ্ছা করে পুরুষদের সঙ্গে আলাপ পরিচয় করে।
১৫। কোন অভিনেতা বা নর্তকের স্ত্রী।
১৬। বাল্য বিধবা নারী।
১৭। যে নারী নিজে দরিদ্র হলেও বিলাসী জীবন যাপন করতে ভালোবাসে।
১৮। যার স্বামীর অনেকগুলি কনিষ্ঠা প্রণয়িনী বা পত্নী আছে।
১৯। যে নারী স্বামীকে অপদার্থ বলে বিবেচনা করে কিন্তু নিজে বেশ সুন্দরী।
২০। যে নারী নিজে বেশ গুণবতী কিন্তু স্বামী একেবারে অপদার্থ।
২১। যে নারী অন্য পতির সঙ্গে বিবাহ স্থির কিন্তু তখনও বিবাহিতা নয়।
২২। যে নারীর নায়কের স্বভাব প্রভৃতি তার গুপ্ত প্রেমিকের তুল্য।
২৩। যে নারী সর্বদা অপরিচিত লোকের মতে মত দিয়ে থাকে।
২৪। যে নারী বিনা কারণে স্বামী কর্তৃক অপমানিতা হয়েছে।
২৫। যে নারী সপত্নীদের দ্বারা অপমানিতা হয়েছে।
২৬। যে নারীর স্বামী প্রায়ই বিদেশে বাস করে।
২৭। যে নারী অতি কামুক।
২৮। যার স্বামী বেশি বাইরে সারাদিন থাকে।
২৯। যে নারীর স্বামী নিষ্ঠুর।
৩০। ভীরু স্বভাব, বেঁটে বিকলাঙ্গ ও বৃদ্ধ যে নারীর স্বামী।
৩১। মনিখারে পত্নী বা পত্নীগণ।
৩২। কোন কৃষক পত্নী, যে নগরে বাস করে।
৩৩। যে নারীর স্বামী যৌন শীতলযুক্ত।
৩৪। যে নারীর স্বামীর গা থেকে দুর্গন্ধ বের হয়ে থাকে।