সঙ্গমকালে
মুখে নানারকম শব্দ
নারী পুরুষের মিলনের
সময় নারী থাকবে ক্রিয়াহীন, পুরুষ নারীর বিভিন্ন অঙ্গ সংবাহন
করবে, তার সঙ্গে মিলন চলবে। নারী পূর্ণ আনন্দ পেলে তার মুখ দিয়ে নানা রকম ধ্বনি বা আনন্দ শব্দ বের হবে।
যেমন আঃ আঃ ইঃ ইঃ ওঃ ওঃ ইত্যাদি।
নারীর
দেহে টিপুনীর স্থান
১। হাতের চেটো।
২। সম্পূর্ণ বাহু।
৩। পায়ের চেটো।
৪। উরুদ্বয় ও পায়ের মাংসল ভাগ।
৫। ভগদেশ বা যোনি স্থান।
৬। ভগাঙ্কুর।
যখন মিলনের পূর্বে বা
সঙ্গে সঙ্গে এই মৃদু শীৎকার ধ্বনি হয় তখন নারী ও পুরুষ নানা প্রকার শব্দ করে থাকে।
একে আনন্দের শীৎকার ধ্বনি বলে। নারী ও পুরুষ ভীষণ কামোন্মত্ত হলে এ রকম শব্দ হতে
পারে।
নানা
প্রকারের শীৎকার ধ্বনি
১। হিঙ্কার যা নাসিকা উত্থিত।
২। স্তনিত - অনেকটা মৃদু মেঘ গর্জনের মত শব্দ।
৩। কৃজিত - আসে আসে, হং হং বা হিং হিং ধরণের শব্দ।
৪। রুদিত - এটি আসে আসে, কান্নার শব্দের মত।
৫। সুৎকৃত - এটি রতি কার্যের পর পরিশ্রান্ত হবার শব্দ, সেই সঙ্গে বের হবে কথা, শিগগীর শিগগীর কিন্তু কথাও শীৎকৃতের মধ্যে গণ্য।
৬। দ্যুৎকৃত - জিহ্বা ও তালুর মিলিত শব্দ।
৭। ফুৎকৃত - ঠিক ফু দেবার মত এই শব্দ, সেই সঙ্গে বের হবে ঠিক কিছু কথা, ও গো মা, ছেড়ে দাও, মরি মরি, আঃ পারছি না ইত্যাদি নানা শব্দ।
এছাড়া বিভিন্ন শব্দ হতে
পারে যেমন- পাখির কূজনের শব্দ, মৌমাছির
শব্দ, হরিণীর শব্দ, আরও নানা
শব্দ। অবশ্য বীর্যপাত হয়ে যাবার সময় বা পরেও পুরুষ অনুরূপ নানা শব্দ করতে পারে।
কিন্তু পুরুষের লক্ষ্য রাখতে হবে যেন নারীর শব্দ আগে বের হয়।
শীৎকারের
প্রয়োজনীয়তা
পুরুষ সাধারণত নারীর
চেয়ে বলশালী, তাই সে সহসা উত্তেজিত হয়। নারীকে শৃঙ্গার তৃপ্তি যে যত
তাড়াতাড়ি পরিপূর্ণ করতে পারে, শীৎকার তত আগে বের হবে
নারীর মুখ থেকে। শীৎকার বা রতির আনন্দ শব্দ নারীর মুখ থেকে বের হলে তা সার্থক রতি।
তা যদি না হয়, তবে রতি অসার্থক।
বিভিন্ন উপাচার
বা অত্যাচার
শীৎকার
বের হবার জন্য নারী দেহে বিভিন্ন উপাচার বা অত্যাচার প্রয়োগ দরকার।
১) কিল ব্যবহার।
২) বিদ্ধক -
স্তনে আঙ্গুল বিদ্ধ করা।
৩) করতলি - একসঙ্গে
অনেকগুলি আঙ্গুল দ্বারা নারীর মাথায় আঘাত করা হয়।
৪) সঙ্গম শিখা - আঙ্গুল
দিয়ে নারীর স্তনবৃন্ত নিপীড়ন ও স্তন তুলে ধরা।
বাৎস্যায়ন বলেন,
মিলনে এসব উপাচার প্রয়োগ করা উচিত, কেবল নারী যেন বেশী
ব্যাথা না পায়।